ওই হামলার প্রেক্ষাপটে শনিবার এক বিবৃতিতে দেশব্যাপী এ ধরনের ‘জঙ্গি তৎপরতা’ মোকাবেলায় সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ।
গুলশানের লেকের ধারে এই ক্যাফেটির খোলামেলা পরিবেশ বিদেশিদের কাছে বেশ প্রিয় ছিল। শুক্রবার জঙ্গিরা হানা দেওয়ার সময় ওই রেস্তোরাঁটিতে অনেক বিদেশি ছিলেন। এর মধ্যে দুই শ্রীলঙ্কান ও এক জাপানি বেঁচে যান।
বন্দুকধারীদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া তারা ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগ বিদেশি।
শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযানে জঙ্গিদের হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিকালে লাশগুলো বের করা হয় ক্যাফের ভেতর থেকে।
বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, “রাজধানীর কূটনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা, দেশি/বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
“এই ধরনের ব্যাপক, বেপরোয়া ও পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা গেল। একইসঙ্গে দেশে পুরোহিত-পাদ্রী-সেবায়েত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনাবলী আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলছে।”
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করতে কয়েকদিন আগেও সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবার সেই অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করছি।”
বিবৃতিতে গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের আত্মার মঙ্গল কামনা করে এরশাদ বলেন, “আমরা এই ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন।
“যারা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের আশু সুস্থ্যতা কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি।”