দলের সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে এক বৈঠকে তিনি বলেন, “উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েছে। পার্টি অফিসের সামনে যার সাথে ধাক্কা লাগে সেই বলে আমি আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। কিন্তু তারা যে উপ কমিটির সহ-সম্পাদক এটা তারা বলে না।”
উপ কমিটির এই নেতাদের অনেকে আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই সহ-সম্পাদকের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে অনেকে নিজ জেলায় অনেক হুমকি- ধমকিও মারে। তাই আগামী সম্মেলনে উপ কমিটির সহ-সম্পাদকের সংখ্যা একশ’র মধ্যে কমিয়ে আনা হবে।”
বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদকের সংখ্যা ৪৬৭ জন বলে দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ জানিয়েছেন।
২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিলের পর ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে উপ কমিটির নেতাদের নাম প্রকাশ হয়। সে সময় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে ৬৬ জনের নাম এসেছিল। এরপর কয়েক ধাপে এই সংখ্যা বাড়ে।
সম্মেলন নিয়ে দপ্তর উপ-পরিষদের বৈঠকে ওবায়দুল কাদের জানান, জেলা-উপজেলা শাখা থেকে কাউন্সিলদের নামের তালিকা ৩০ মের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাঠানো হবে।
আগামী ১০ জুলাই আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের দিন রয়েছে।
বর্তমানে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে আওয়ামী লীগের ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে দেখছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “বিএনপির বর্তমান যে অবস্থা তাতে তাদের মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো বিষয় নয়। গত এক বছর ধরে কোনো আন্দোলন- সংগ্রাম নেই, বিএনপি তাদের কর্মসূচি শুধু প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
“কিন্তু এ সময়ে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা অনেক বেড়েছে। আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা, যাকে আমাদের এক ও অভিন্নভাবে মোকাবেলা করতে হবে।”