বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করতেই এই ষড়যন্ত্র হয় বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এফবিআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অংশ হিসেবে জয়কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটা সুগভীর ষড়যন্ত্র।
“শফিক রেহমানের বাসায় যে ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই এখানে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্ত আছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কিত সংরক্ষিত তথ্য পেতে এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার দায়ে এক বিএনপি নেতার ছেলের দণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই ডিবির হাতে যেসব ডকুমেন্ট তুলে দিয়েছেন তাতে আমার মনে হয় কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসছে।
“শফিক রেহমানের বাসায় যে ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে সেখানে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্ত আছে।”
গোয়েন্দারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এফবিআই সদস্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে বলে জানান এই মন্ত্রী।
এফবিআইয়ের তথ্য এত গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জয় তো খুব সেনসেটিভ জায়গার মানুষ। তার সম্পর্কে তথ্য সেনসেটিভ হবেই।
“সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফিউচার লিডার। ফিউচার লিডার হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে বাংলাদেশের জনগণ মনে করছে। আমি মনে করি, জয় নতুন জেনারেশনের প্রতিনিধি, আমাদের ফিউচার লিডার।”
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়কে বাংলাদেশের ‘আইসিটি বিপ্লবের আর্কিটেক্ট’ অভিহিত করে তিনি বলেন, “তার প্রতিভা ও মেধা অনেকের জন্য ভয় ও ভীতির কারণ হচ্ছে। এ ভীতি থেকেই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হতে পারে।”
আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ‘অন্ধকারের পথ বেছে নিয়ে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করতে পারে’ বলে মনে করছেন তিনি।
ভিন্নমত দমনের কৌশল হিসেবে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার যে মন্তব্য করেছিলেন তা নাকচ করেছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “দুদিন আগেও অনেকে ভেবেছেন কেন এ ধরনের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে? আমার মনে হয়, গতকাল থেকে তাদের সংশয়-সন্দেহ কেটে গেছে, ইমরানও বুঝতে পেরেছেন তার অভিযোগ সঠিক ছিল না।”