প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার মায়ার পুনর্বিবেচনার আবেদন ‘উপস্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেয়।
এর ফলে আগের নির্দেশনা অনুসারেই হাই কোর্টে নতুন করে এ মামলার আপিল শুনানি হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মায়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের এই মামলা করা হয় বিগত জরুরি অবস্থার সময়।
দুদকের করা এ মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান। তার আপিলের শুনানি করে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করলে তা নিষ্পত্তি করে গতবছর ১৪ জুন পর্যবেক্ষণসহ রায় দেয় আপিল বিভাগ। খালাসের রায় বাতিল করে হাই কোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেওয়া হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্যই ২০১৫ সালে আপিল বিভাগে এই আবেদন করেছিলেন মায়া, যা রোববার খারিজ হয়ে গেল।
পুনর্বিবেচনার আবেদনে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। আর দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর বাসেত মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলাম, তা না চালানোর কথা বলেছি। আদালত রিভিউ আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছে।”
দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, “রিভিউ আবেদনটি খারিজ হওয়ার অর্থ হলো- মায়ার করা ফৌজদারি আপিল হাই কোর্টে পুনঃশুনানির আদেশ বহাল থাকবে। তিনদিন পর অবকাশ শুরু হচ্ছে, আশা করি অবকাশের পর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হবে।”
২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা এ মামলায় মায়ার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপিল বিভাগের আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী মায়া সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত রায় দিয়েছেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”