তারেকের ‘মুদ্রা পাচার’ মামলার আপিল শুনানি ৪ মে

মুদ্রা পাচার মামলায় বিএনপি নেতা তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের আপিল শুনানি শুরু হবে ৪ মে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2016, 06:14 AM
Updated : 7 April 2016, 07:01 AM

বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ আপিল শুনানির এই দিন ঠিক করে দেয়। 

এ মামলার শুনানিতে হাজির হতে আদালত খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সমন জারি করেছে, তা তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

ফাইল ছবি

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এদিন আদালতকে জানান, লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশন সমন পাঠানোর বিষয়টি বাস্তবায়ন করলেও তারেক রহমানের কোনো সাড়া মেলেনি। 

খুরশীদ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান পলাতক। আদালত আপিল শুনানির জন্য ৪ মে দিন ধারর্য করেছেন।”

ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দেন। মামলায় তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয় সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।

তারেকের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ওই বছর ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে আসামি তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।

মামলাটি দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। আত্মসমর্পণ করলে তিনি জামিন চাইতে পারবেন।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

জজ আদালতের রায়ে বলা হয়, ওই টাকা খরচ করার কথা তারেক রহমান অস্বীকার করেননি। ২০০৭ সালে দুদকে দাখিল করা তারেকের হিসাব বিবরণীতে তার উল্লেখ রয়ছে। তিনি যে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন তা প্রমাণ হয়নি।