শনিবার সকালে উদ্বোধনের পর শুরু হয় বক্তৃতা পর্বে। এতে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীতে সরকার পরিচালনার রূপরেখা ‘ভিশন-২০১৩’ উপস্থাপন করেন। প্রচার করা হয় জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের তারেক রহমানের ভিডিও বার্তাও।
দুপুরে খাবার বিরতির পর পৌনে ৪টার দিকে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে মিলনায়তনে কাউন্সিলের কর্মঅধিবেশন শুরু হয়।
এই অধিবেশনটি রুদ্ধদ্বার বলা হলেও প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষকদের স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় অনেককে বাইরেই বসতে হয়েছে। ফলে আলোচনাও বাইরে থেকে শোনা যাচ্ছে।
এবার বিএনপির কাউন্সিলরের সংখ্যা তিন হাজার। স্থায়ী কমিটির্ সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যগণ, জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা ও মহানগর থেকে দুজন নারী সদস্যদের বাইরে মোট কাউন্সিলরদের ১০ শতাংশ চেয়ারপারসন মনোনীত করেছেন।
কাউন্সিলের কর্ম অধিবেশনের কার্যসূচিতে আছে- শোক প্রস্তাব উপস্থাপন ও গ্রহণ, চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান জমিরউদ্দিন সরকারের প্রতিবেদন পেশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের প্রতিবেদন পেশ, তার উপর আলোচনা, বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে মুক্ত আলোচনা, সাংগঠনিক অবস্থা বিশ্লেষণ এবং দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধন।
এই কর্ম অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা কাউন্সিলরদের। তবে বরাবরই এই দায়িত্ব খালেদা জিয়ার হাতেই চলে যায় এবং তিনিই কমিটি ঘোষণা করেন।
কর্মঅধিবেশনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কাউন্সিল সফল করার কাজে যুক্ত সব নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান খালেদা জিয়া।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মূল মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
অসুস্থতার কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, সারোয়ারি রহমান এবং কারাগারে বন্দি থাকায় মির্জা আব্বাস ছিলেন অনুপস্থিত।
১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির সর্বশেষ পঞ্চম কাউন্সিল হয়েছিল ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। তিন বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও এবার তার দ্বিগুণ সময় পর হল দলটির কাউন্সিল।