বিএনপির কাউন্সিলে বি চৌধুরী-অলি

আমন্ত্রণ জানানো হলেও আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কোনো নেতাই বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে যাননি। যাননি গণফোরাম, সিপিবি, জাসদ (রব) এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কোনো নেতাও।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2016, 12:38 PM
Updated : 19 March 2016, 03:13 PM

শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বিএনপির ষষ্ঠ এই কাউন্সিলে দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে গেছেন কেবল বিকল্পধারা ও এলডিপির নেতারা।

কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কাউন্সিলে অংশ নেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী; যিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন।

বি চৌধুরী বলেন, “দলের প্রথম প্রতিষ্ঠার দিনটি (১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর) স্মরণ করে আমি বলছি, সেই দিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন কাউন্সিলের সভাপতি। … আমাকে দীর্ঘ দেড় ১ ঘণ্টা বক্তব্য দিতে হয়েছিল। আজ ওই সময়ের অনেকে এখানে আছেন।”

অলি আহমদ

বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের সাফল্য কামনা করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, “আজ যখন গণতন্ত্র বিপন্ন, যখন শান্তি-শৃঙ্খলা নেই, যখন রাজনীতি প্রায় স্তব্ধ সেই সময়ে আমি এই কথা বলে বিদায় নেব- আপনাদের কাউন্সিল সফল হউক, রাজনীতির আবার অভ্যুদয় হউক। গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপি থেকে চলে যাওয়া আরেক নেতা এলডিপির সভাপতি অলি আহমদও।

জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর তাসনিম আলম এবং আবদুল হালিম ছিলেন কাউন্সিলে।

অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিশের অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ মেহেদি, ন্যাপ-ভাসানীর জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামে ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন ও ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি।