তবে শেখ মুজিবর রহমানকে বঙ্গবন্ধুকে ও জাতির জনক কোনোটাই বলেননি তিনি।
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবেও দাবি করেন তার স্ত্রী খালেদা।
একাত্তরের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার পর বাঙালির সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি শুরু হয়। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধন শুরু করে এবং বন্দি করে বঙ্গবন্ধুকে। বন্দি হওয়ার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।
বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে একাধিক ব্যক্তি পাঠ করে শোনান। এর মধ্যে সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানও ছিলেন।
এর ভিত্তিতে বিএনপি জিয়াকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ বলে দাবি করলেও তা না করতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশও রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “আমি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমানসহ মরহুম জাতীয় নেতাদের অবদানের কথা স্মরণ করছি।
তারা দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছিলেন।”
খালেদা জিয়া এসময় মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী ভারতসহ যেসব দেশ ও বন্ধুপ্রতীম জনগণ সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিলেন তাদেরকেও স্মরণ করার পাশাপাশি ধন্যবাদ জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর টালমাটাল পরিস্থিতির এক পর্যায়ে ঢাকা সেনানিবাসে বন্দি তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন।
সেদিন নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা। ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।