ফাঁসি ঠেকাতে জামায়াতের সব চেষ্টা ব্যর্থ: মায়া

যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে জামায়াতে ইসলামীর সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2016, 08:26 AM
Updated : 8 March 2016, 08:26 AM

মঙ্গলবার আপিল বিভাগ একাত্তরে চট্টগ্রামের বদর কমান্ডারের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া বলেন,“আজ বাংলাদেশের সকল শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও সকল জনগণ শুকরিয়া আদায় করছে। বাংলার মানুষ ন্যায়বিচার পেয়েছে।

“এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ফাঁসি ঠেকাতে জামায়াত-শিবিরের সকল প্রকার প্রয়াস আজ ব্যর্থ হয়েছে।”

এদিকে মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল রায় নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ দুই মন্ত্রীকে তলব করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

মীর কাসেমের আপিলের রায় সামনে রেখে গত ৫ মার্চ এক আলোচনা সভায় রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানির দাবি তোলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল।

কামরুল ইসলাম (ফাইল ছবি)

তিনি বলেছিলেন,“এই মামলার রায় কী হবে, তা প্রধান বিচারপতির প্রকাশ্যে আদালতে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি। তার বক্তব্যের মধ্যে এটা অনুধাবন করেছি, এই মামলায় আর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং বিএনপি নেতারা মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্বপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বলেন, এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ।

এ ধরনের মন্তব্য এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিতর্কিত বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ।

আপিলের রায়ে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনন্দ মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা।