ধানমন্ডি, নয়া পল্টন ও জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে শুক্রবার বিকাল ৪টায় তাকে বনানীতে দাফন করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আর এ গনি। জিয়াউর রহমানের সরকারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই বিএনপি নেতার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
শুক্রবার সকালে হাসপাতালের হিম ঘর থেকে আর এ গনির মরদেহ ধানমন্ডির বাসায় নেওয়া হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চিকিৎসক এমআর খান, কলামনিস্ট মাহফুজউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে শেষবার তাকে দেখতে যান।
পরে তার কফিন নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজার পর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রয়াত এই নেতার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. আর এ গনি এদেশের একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি যখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে বিএনপিকে যোগ দেন, তখন থেকে এই দলের আর্দশ অনুসরণ করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই আর্দশকে সমুন্নত রেখেছেন। তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।”
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আরেকবার জানাজা শেষে বিকালে আর এ গণিকে বনানী কবরাস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ১৯ সড়কে আর এ গনির বাসায় তার কুলখানি হবে।
সবাইকে কুলখানিতে অংশ নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।