যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের অঙ্গীকারে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ।
Published : 16 Dec 2015, 06:07 PM
বিজয়ের ৪৪তম বার্ষিকীতে বুধবার বিকালে রাজধানীতে বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে ক্ষমতাসীন দল। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে গিয়ে শেষ হয় এই কর্মসূচি।
বিজয় শোভাযাত্রা উদ্বোধনের আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।
“এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, পৃথিবী দেখে যাও। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে পদ্মা সেতু করতে হয়। শেখ হাসিনা যা বলে, তা করে দেখায়।”
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর উদ্যোগ নেয়। এই বিচারে এই পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী বেশ কয়েকজনের রায় হয়েছে। আরও কয়েকজনের বিচার চলছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পঁচাত্তরে আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজাকারদের ক্ষমতায় বসিয়ে জিয়াউর রহমান দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
“আমরা সেই রাজাকারদের বিচার শুরু করেছি। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয় নাই এখনও। পাকিস্তানের দোসরদের বিচার শেষ করার আগ পর্যন্ত আমাদের এ সংগ্রাম চলবে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “আপনার শরীরে এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত লেগে আছে। আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এ জন্য আপনারও বিচার করা হবে।”
শোভাযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের পর শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শাহবাগ, কাঁটাবন, সাইন্সল্যাব, রাসেল স্কয়ার হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
রাজধানী ঢাকা মহানগরের সংসদ সদস্যরা, থানা-ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ নানা সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেন।
ঘোড়ার গাড়ি, পিকআপ ভ্যানে দেশাত্মবোধক গান-ঢোল বাজিয়ে, নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে শোভাযাত্রাটি বর্ণিল করে তোলেন তারা।