বিজয়ের ৪৪তম বার্ষিকীতে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি।
Published : 16 Dec 2015, 04:58 PM
বুধবার বিকাল তিনটার দিকে দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় বিএনপির ‘বিজয় শোভাযাত্রা’। মালিবাগ মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন।
সর্বশেষ ২০১২ সালে বিএনপি রাজধানীতে বিজয় মিছিল করেছিল।
মালিবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমরা যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম, আজ ৪৪ বছর পর তা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি।
“আজকের দিনে আমরা জনগণকে আহবান জানাতে চাই, আসুন ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, সেই চেতনায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।”
মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে বিজয় শোভাযাত্রার সামনের অংশ মালিবাগ মোড়ে এসে পৌঁছায়। শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দেন।
অসুস্থ থাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ট্রাকে চড়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা শাহজাহান ওমর, মোহাম্মদ শাহজাহান, মাহবুবউদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, কাজী আসাদুজ্জামান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, শামীমুর রহমান শামীম, এম এ মালেক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, মুনির হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা হেঁটে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
বিজয় শোভাযাত্রা উপলক্ষে দুপুর আড়াইটা থেকেই ফকিরেরপুল মোড় থেকে নয়া পল্টনের নাইটেঙ্গল রেঁস্তোরার মোড় পর্য্ন্ত সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটে।
তাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবির প্ল্যাকার্ড।
শোভাযাত্রার প্রথমভাগে মহিলাদলের নেতাকর্মীরা ‘বিএনপির বিজয় র্যালি-২০১৫ স্বাগতম’ লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। এরপর ছিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।