ওলামা লীগে কারা আনসারুল্লাহ?

আওয়ামী ওলামা লীগের যে অংশকে আনসারুল্লাহ সংশ্লিষ্ট বলছে অন্যপক্ষ, তাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2015, 02:46 PM
Updated : 22 Oct 2015, 03:36 PM

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী ও দেলোয়ার হোসেন নেতৃত্বাধীন অংশটি অন্য অংশটির নেতাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে।

এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার আখতার হুসাইন বোখারী ও আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী নেতৃত্বাধীন অংশটি এক বিবৃতিতে পাল্টা অন্য অংশের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছেন।

হেলালী নেতৃত্বাধীন অংশের ‘মিথ্যা অপবাদের’ প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “হেলালী আমাদের আনসারুল্লাহ বলায় প্রমাণিত হয়েছে সে নিজে আনসারুল্লাহর সদস্য। কারণ আনসারুল্লাহর সদস্যই কেবল আনসারুল্লাহর সদস্যকে চিনতে পারে। সে যদি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য না হয়, তাহলে চিনল কীভাবে?

“তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার আনসারুল্লাহ জঙ্গি কানেকশন বের হয়ে আসবে।”

বাগেরহাটের হেলালীর বাবা একাত্তরে ‘রাজাকার’ ছিলেন বলেও দাবি করেছে বোখারী ও শরীয়তপুরী নেতৃত্বাধীন অংশ।

হেলালী নিজেদের ওলামা লীগের মূল ধারা দাবি করলেও বোখারী ও শরীয়তপুরী বলছেন, তারাই মূল ধারা। 

“আইএস জঙ্গিসহ জামাত-যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদীদের নিষিদ্ধের দাবিতে যতগুলো মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন আমরা করেছি, ওলামা লীগ দাবিকারী হেলালী তো তা করেনি।”

হেফাজত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বোখারী ও শরীয়তপুরী বলেন, হেফাজতের আন্দোলনের সময় তারাই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে মাঠে ছিলেন।

“তখন হেলালী কোথায় ছিল? সে তো এসব মিটিংয়ে, কর্মসূচিতে ছিল না। বরং সে-ই হেফাজতের সাথে আঁতাত করায় এসব কর্মসূচিতে হাজির হয়নি।”

“ট্রাক ড্রাইভার ও কিছু হেলপার, হাইজ্যাকার, পকেটমারকে নিয়ে কমিটি ঘোষণা করে সে এখন ওলামা লীগের স্বঘোষিত সভাপতি দাবি করে।”

ওলামা লীগের নামে এই দুই অংশ কাজ করলেও এই সংগঠনটি আওয়ামী লীগের স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন নয়। তবে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যানার নিয়ে এই সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়।

বিবদমান এই দুটি পক্ষ কয়েকদিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে মারামারিতে জড়ায়।

ওই মারামারির জন্য হেলালী নেতৃত্বাধীন অংশকে দায়ী করে বোখারী ও শরীয়তপুরী নেতৃত্বাধীন অংশ বলছে, ওই হামলার জন্য তারা শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন।