‘দল নয়, আমরা রংপুর বিভাগ করি’

‘পশ্চাৎপদ’ উত্তরাঞ্চলকে এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যক্তিরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2015, 06:29 PM
Updated : 18 Oct 2015, 06:29 PM

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিএম কাদের প্রমুখ।

ঢাকায় রোববার রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তাদের অঞ্চলকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান তারা একযোগে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, “আমরা (রংপুর বিভাগের জনগণ) আগেও পশ্চাৎপদ ছিলাম, এখনও আছি। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে যেন অন্য অঞ্চলগুলোর সমতুল্য হতে পারি।

“এখানে কেউ জাতীয় পার্টি নয়, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি নয়। আমরা সবাই রংপুর বিভাগ করি, রংপুর বিভাগের লোক।”

রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সকলকে দাবি তুলতে হবে, আমরা আর পশ্চাৎপদ থাকতে চাই না। তোমরা সবাই রাস্তায় নামো, দাবি তোলো।”

তবে উত্তরবঙ্গকে পশ্চাদপদ ভাবতে রাজি নন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী।

তিনি বলেন, “আমরা আজ খাদ্যে স্ময়ংসম্পুর্ণ হয়ে রপ্তানি করছি। সম্প্রতি নেপালে ভূমিকম্পের পর সেদেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার টন চাল পাঠিয়েছেন। এ পুরো কৃতিত্বই উত্তরের কৃষকদের। আমি মনে করি না, আমরা পিছিয়ে আছি।”

এ সময় উত্তরবঙ্গকে ঘিরে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য।

“সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। লালমনিরহাটকেও বিকল্প বিমানবন্দর হিসেবে তৈরি করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে।”

সৈয়দপুর ও পার্বতীপুরের রেল কারখানাগুলোর মানোন্নয়নের কাজে হাত দেওয়ার পাশাপাশি এই পথ দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা মশিউর রহমান রাঙা বলেন, “যা হয়নি তা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই, বরং কী করতে হবে তা নিয়ে কথা বলতে হবে। আমরা সামনে এগুতে চাই।”

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, “উত্তরবঙ্গ অবহেলিত। বাইরের কেউ জোর করে বা আমরা নিজেরা এমন করেছি এমন নয়। এক সময় উত্তরবঙ্গ ছিলো শস্য ভাণ্ডার, এখনও তাই। তবে যখন শিল্পের বিকাশ শুরু হল, তখন আমরা পিছিয়ে পড়লাম।

“কারণ যে এনার্জি দিয়ে শিল্প কারখানা চলবে সে গ্যাস পাওয়া গেলো ব্রহ্মপুত্রের ওপারে। একারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। তবে এখনও আমাদের এখানে কয়লার বিশাল মজুদ রয়েছে, একে কাজে লাগাতে পারলে এখানেও শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।”

অনুষ্ঠানে সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ও সাধারন সম্পাদক গাউসুল আজম বিপু।