বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় প্রাণহানির ১১ বছর পূর্তির দিন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ বিষয়ে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন জয়।
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র জয় স্ট্যাটাসে লেখেন, “আগস্ট মাস আমাদের জন্য একটি কালো মাস, বিশেষ করে আমার পরিবারের জন্য। ২০০৪ সালের এই দিনে ভয়াবহ এক গ্রেনেড হামলায় প্রায় মারা পড়ছিলেন আমার মা। আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মিসেস আইভী রহমানসহ দলের ২৩জন সদস্য নিহত হন এবং ৪০০ জনের বেশি আহত হন। এটি ছিল আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ১৯তম হামলা।”
ওই হামলা পরিকল্পনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তিনি লেখেন, “হামলা চালিয়েছিল যে জঙ্গি সংগঠনটি, তার প্রধান মুফতি হান্নান গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিস্তারিত জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে যে, হামলার পরিকল্পনার বৈঠকগুলো হয়েছিল হাওয়া ভবনে, বেগম জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এর কার্যালয়ে।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আলোচিত হাওয়া ভবন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন ও আব্দুস সালাম পিন্টুর বাসায় হরকাতুল জিহাদ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির এসব নেতার বৈঠক এবং হামলা পরিকল্পনা নিয়ে বলতে শোনা যায় মুফতি হান্নানকে।
স্ট্যাটাসে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “বিএনপি সেই একই দল যারা মাসকয়েক আগে এবং ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ আমাদের নাগরিকদের ওপর পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছিল। শতাধিক নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারা, যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও ছিল।
“খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। তিনি একজন সন্ত্রাসী।”