খালেদার জন্মদিনের কেক কাটল মহিলা দল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জাতীয় শোক দিবসের বিকালে তার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2015, 01:09 PM
Updated : 15 August 2015, 01:49 PM

প্রতিবছর ১৫ অগাস্টের প্রথম প্রহরে বিএনপি নেত্রী কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করলেও এবার তা হয়নি। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও খালেদার জন্মদিনের কোনো আনুষ্ঠানিকতা শনিবার বিকাল পর্যন্ত দেখা যায়নি।

বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের বনানীর বাসায় খালেদার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা। এবার এটাই খালেদার জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম অনুষ্ঠান।

মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহানগর সভানেত্রী সুলতানা আহমেদসহ কেন্দ্রীয় মহিলা নেত্রী ও সাবেক কয়েকজন মহিলা সাংসদকে নিয়ে দলীয় প্রধানের জন্মদিনের কেক কাটেন সেলিমা রহমান।

এ সময় ‘শুভ শুভ জন্মদিন, বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন’ বলে শ্লোগান দেন তারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত হয় সেখানে।

বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বয়স ৭০ বছর পূর্ণ হল। যদিও তার একাধিক জন্মদিন ও জন্মসালের হদিস পাওয়া যায়।

খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি প্রধানের জন্ম ১৯৪৫ সালে।

বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি বইয়েও তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট দেখানো হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার।

১৯৬০ সালের অগাস্ট মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় খালেদার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নানা পটপরিবর্তনে জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের দিকে চালিত করার যে চেষ্টা করা হয়, বিতর্কিত জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে কার্যত তা-ই উদযাপন করেন খালেদা।

রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার মধ্যে এবার জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে বিএনপি নেত্রীর জন্মদিনের কেক কাটা না হলেও রাতে ওই অনুষ্ঠান হবে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

সহযোগী সংগঠন যুবদল, জাসাস ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, কেক নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। 

“সন্ধ্যায় ম্যাডাম কার্যালয়ে আসবেন। আমরা তাকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাব। তাকে নিয়ে কেক কাটব,” বলেন এক ছাত্রদল নেতা।