<p><strong>বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যধি। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বাল্যবিয়ের কুফলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হলেও এই সমস্যা ঘটেই চলেছে।</strong></p><p>বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর। এর আগে বিয়ে মানেই সেটা বাল্যবিবাহ।</p><p>জেনে নেওয়া যাক, বাল্যবিয়ের কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে। অল্প বয়সে বেশিরভাগ মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ বাল্যবিয়ে। দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর মূল কারণ ১৮ বছরের কম বয়সীদের মা হওয়া। কিশোরী মায়ের মৃত্যুঝুঁকি প্রাপ্তবয়স্ক মায়ের তুলনায় অন্তত চার গুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।</p><p>অল্প বয়সে বিয়ের ফলে একটি মেয়ের পক্ষে অন্য একটি পরিবারের অনেক বিষয় সামাল দেয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে তারা অনেক শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়ে থাকে।</p><p>অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া শিশু নির্যাতন বা যৌন নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। বাল্যবিয়ের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা, প্রসবকালীন মৃত্যুঝুঁকি, প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াও নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।</p><p>বাল্যবিয়ের ফলে দীর্ঘমেয়াদী নানা সমস্যাও হয়ে থাকে। নারী শিক্ষার হার হ্রাস, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা ও সুযোগ কমে যাওয়াসহ নানা রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।</p><p>বাল্যবিয়ের ফলে অল্প বয়সে গর্ভবতী হওয়ার ফলে অপুষ্টির কারণে অনেক সময় নবজাতক মারাও যায়। এমনকি নবজাতক বেঁচে থাকলেও পরবর্তীতে এসব শিশুরা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় ভোগে।অনেক ক্ষেত্রে নাবালিকা মেয়ে মা হওয়ায় কীভাবে শিশুকে পরিচর্যা করবে, সে সম্পর্কে সম্যকজ্ঞান থাকে না।বাল্য বিয়ে নারীর অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে।</p>.<blockquote>প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: রংপুর।</blockquote>