সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নিয়ে দরজায় এসএসসি

"যেটুকু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা মূলত স্কুল খোলার পর নেওয়া হয়েছে, তাই সময় খুব বেশি ছিল না"

কিশোর দাশ হিমু, প্রাঞ্জল চৌধুরী লোটাস (১৬), সিলেট
Published : 5 June 2022, 01:39 PM
Updated : 5 June 2022, 01:46 PM

মহামারি শেষে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আরেকটি এসএসসি পরীক্ষা কড়া নাড়ছে দরজায়।

নবম-দশম শ্রেণি মিলিয়ে পরীক্ষার আগে কয়েক মাস বিদ্যালয়ে ক্লাস করার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নিয়ে জানিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ নিয়ে সিলেটের বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী বৃষ্টি দেব (১৫) বলছিল, “আমরা মাত্র আট মাস ক্লাস করেছি, এর মধ্যেই এসএসসির জন্য তৈরি হতে হয়েছে বলে শর্ট সিলেবাসই উপযুক্ত; তবে প্রতি বিষয়েরই কমপক্ষে ৪-৬ টা চ্যাপ্টার বাদ পড়েছে বলে এইচএসসি তে সমস্যা হতে পারে।"

এদিকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষার ফলে এইচএসসিতে এর খারাপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করে হবিগঞ্জের এফ আর বাধন (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী।

সে হ্যালোকে বলে, "করোনার জন্য, শর্ট সিলেবাসে এসএসসি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ায় এসএসসির অনেক বেসিক যা এইচএসসিতে কাজে লাগবে তা আর পড়া হয় নাই। আবার ফুল সিলেবাসে পরীক্ষা নিলে আমরা কোনো ভাবেই হয়ত প্রিপারেশন নিতে পারতাম না এই সময়ের ভেতরে।"

পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সম্পর্কে হ্যালোর সাথে কথা হয় বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিফা নোশিন খান ঐন্দ্রিলার (১৫)।

সে বলে, "পরীক্ষার প্রিপারেশন মোটামুটি ভালোই। স্কুলের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষাটা সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে, নিজেকে যাচাই করতে পেরেছি। তবে আমাদের ইন্টারের সময় এমনিতেই কিছুটা চলে গেছে, যার পড়া কভার করা অনেক কঠিন হবে।"

একই বিষয়ে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থী প্রত্যাশা তন্বী হ্যালোকে বলে, "সিলেবাস শেষ করার পেছনে প্রতিষ্ঠানের অবদানের চেয়ে গৃহশিক্ষক আর কোচিংয়ের অবদান অনেকাংশেই বেশি। তবে স্কুলের শেষ সময়ে দুটি পরীক্ষা নেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে। নিজের ভুল সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া গেছে।"

প্রিয়ম তালুকদার (১৬) সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এ পড়ছে। সে হ্যালোকে বলে, "শর্ট সিলেবাস হওয়ায় প্রিপারেশন ভালো ভাবে নেওয়া যাবে; সেই হিসেবে শর্ট সিলেবাসই ভালো।

“আমাদের উপর করোনার তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না কারণ স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট, কোচিং, অনলাইনে পড়ে মোটামুটি ভালোভাবেই সিলেবাস শেষ করতে পেরেছি।"

যেটুকু প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা মূলত স্কুল খোলার পর নেওয়া হয়েছে, তাই সময় খুব বেশি ছিল না বলে জানায় প্রতীতি চৌধুরী সৃষ্টি (১৭) নামের বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী।

সে বলে, "২০ সাল থেকে সময় হিসাব করলে মনে হবে আমরা অনেক বেশি সময় পেয়েছি কিন্তু আসলে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সময়টা সেই ভাবে কাজে আসেনি। অনলাইন ক্লাসে তেমন একটা উপকার হয়নি। দশম শ্রেণিতে উঠার প্রায় নয় মাস পর স্কুল কার্যত খোলে কিন্তু তেমন পড়াশোনো করানো হয় নাই, শেষ দিকে তাড়াহুড়ো করে সিলেবাস শেষ করানো হয়েছে।"