বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি ফেইসবুক পেইজে সরাসরি যুক্ত হয়ে শিবসেনার এ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এতে শিবসেনা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস আর জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির জোটে ভাঙন এখন সময়ের ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে।
উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের আগে বিধানসভায় তার সমর্থন দেখাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বিধানসভায় তা উত্থাপনের আগে নিজেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান ঠাকরে। তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বিধানসভার সদস্যপদ থেকেও।
ফেইসবুক লাইভে তিনি বলেন, “আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে সম্মান করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই মেনে চলতে হবে।”
উদ্ধব ঠাকরের দলের বিধায়কদের বড় একটি অংশ, মোট ৩৯ জন বিধায়ক শিবসেনার জ্যেষ্ঠ নেতা একনাথ শিন্ধের নেতৃত্বে ঠাকরের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় তাকে শক্তি পরীক্ষার আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শিন্ধের সঙ্গে যতজন বিধায়ক আছেন তা ঠাকরেকে সরানোর জন্য যথেষ্ট, শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেই নয়, তার বাবার গড়া দল শিবসেনার সভাপতির পদ থেকেও।
মহারাষ্ট্রের বর্তমান জোট সরকারে শিবসেনার সঙ্গে রয়েছে আঞ্চলিক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ আরও কয়েকটি ছোট দল ও স্বতন্ত্র দল। এর আগে শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলো।
সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা একনাথ শিন্ধে বিজেপির সঙ্গে ফের শিবসেনার জোট গড়তে আগ্রহী এবং বিজেপিকে রাজ্য সরকারে ফিরাতে চান বলেই শোনা যাচ্ছে।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ প্রত্যাবর্তনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
আট দিন আগে, একনাথ শিন্ধে বিধায়কদের একটি দল নিয়ে গভীর রাতে মুম্বাই থেকে বেরিয়ে গিয়ে এ বিদ্রোহ শুরু করেন। বিজেপির নির্দেশনায় প্রথমে তারা গুজরাটের সুরাটে ছিলেন বলে জানা গেছে। একদিন পর ঠাকরের প্রতিনিধিরা তাদের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করতে সক্ষম হওয়ার পরে তারা আসামের গুয়াহাটি চলে যান।
বিজেপিসহ স্বতন্ত্র বিধায়কের সমর্থনে শিন্ধের পক্ষ ভোটে ক্ষমতাসীন সরকারকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিন্ধের পক্ষের অভিযোগ, বিজেপির ছাড়া অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট শিবসেনার ডানপন্থী মতাদর্শের বিরুদ্ধে চলে গেছে, বিজেপিকেই উপযুক্ত মনে করছেন তার ভাগের বিধায়কেরা।