সোমবার দেশটির সেনাদেরকে পেট্রল স্টেশনগুলোর লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনকে টোকেন দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ গত এক সপ্তাহ ধরে কলম্বো ও এর আশপাশের অঞ্চলের স্কুল বন্ধ রেখেছে; সরকারি কর্মীদেরকেও পর্যন্ত ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতিতে থাকা সোয়া দু্ই কোটি জনসংখ্যার দেশটি খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে।
“চারদিন ধরে লাইনে আছি। এই সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক খেতে বা ঘুমাতে পারিনি,” বলেছেন জ্বালানির জন্য টোকেন পাওয়া ৬৭ বছর বয়সী ডব্লিউ ডি শেলটন।
হাতে টোকেন পাওয়ার অর্থ হচ্ছে, তাকে লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হবে, যতক্ষণ না জ্বালানি মেলে।
তার গাড়িতে পর্যাপ্ত পেট্রল না থাকায় তিনি ৫ কিলোমিটার দূরের বাড়িতেও যেতে পারছেন না।
রোববার শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা ভিজেসেকারা জানিয়েছেন, তাদের মজুদে এখন ৯ হাজার টন ডিজেল ও ৬ হাজার টন পেট্রল আছে।
ওই মজুদে শিগগিরই আরও জ্বালানি যুক্ত করতে পারবে কিনা তারা, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
দেশটিতে গত সপ্তাহ থেকে জ্বালানির স্টেশনগুলোতে অপেক্ষারত মানুষের সারি দীর্ঘ হতে দেখা যাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা সরকার জ্বালানি দেওয়ার ক্ষেত্রে গণপরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসা সেবাজনিত কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কিছু পরিমাণ জ্বালানি বিভিন্ন বন্দর ও বিমানবন্দরেও দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় লঙ্কার সরকার বিদেশি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে আছে। ৩০০ কোটি ডলারের একটি বেইলআউট প্যাকেজ নিয়ে কথা বলতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি দল এখন শ্রীলঙ্কা সফরও করছেন।
বৃহস্পতিবার ওই সফর শেষ হওয়ার আগে কর্মকর্তা পর্যায়ে এক ধরনের সমঝোতা হবে বলে দ্বীপদেশটি আশা করলেও তাৎক্ষণিকভাবে ওই অর্থের কিয়দংশ পাওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম।