নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির সরকারি এবং শিল্প কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দেয়।
আগামী অক্টোবরে ভারতে চিনির নতুন মৌসুম শুরু হবে। বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত।
কর্মকর্তারা জানান, ২০২২/২৩ (সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর) মৌসুমে ভারত সরকার খুব সম্ভবত ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দিবে। চলমান মৌসুমের তুলনায় যা একতৃতীয়াংশ কম।
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স থেকে সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় চিনি রপ্তানিকারক দেশ। যদি সত্যিই দেশটি টানা দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য চিনি রপ্তানিতে সীমা বেধে দেয় তবে বিশ্ববাজারে চিনির দাম আরো বাড়বে। যেটা এখনই গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে বলে জানান ট্রেডাররা।
শুধু ভারতের কারণে নয় বরং ব্রাজিল থেকেও এবছর বিশ্ববাজারে কম চিনি এসেছে। চিনি উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম ব্রাজিল শীর্ষ চিনি রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়াও চিনির দাম বাড়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। কারণ, সুগার মিলের মালিকদের ব্যয় বেড়ে গেছে।
চিনি রপ্তানির বিষয়ে অবগত আছেন ভারতের এমন একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বিশ্ববাজারে কোনো ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে চিনি রপ্তানির গতি নিয়মিত রাখা খুবই প্রয়োজন।”
এই মৌসুমে আখ উৎদান কেমন হয় তার উপর নির্ভর করে সরকার চিনি রপ্তানির কোটা নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।
ভারতে সবচেয়ে বেশি আখ উৎপাদন হয় পশ্চিমের রাজ্য মহারাষ্ট্রে। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমে (১ জুন থেকে) সেখানে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত ৬০ শতাংশ কম হয়েছে।
গত ২৪ মে দিল্লি চিনি রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম দিল্লি সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারত মূলত ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সুদান, নেপাল, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে চিনি রপ্তানি করে।