২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বা লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে সংকটে পড়ার মুখে রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
তাদের রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আমদানি-রপ্তানির ফারাক ও আর্থিক ঘাটতিও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বছরে ৩ কোটি রুপির বেশি আয় করা ব্যক্তিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ কর দিতে হবে বলে শুক্রবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় বলেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। ঘোষিত এই বাজের আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
ইসমাইল বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তাদের সরকার বেসরকারিকরণ থেকে ৯ হাজার ৬০০ কোটি রুপি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে।
জ্বালানির ব্যবহার কমাতে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক কাজে নতুন গাড়ি কেনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি।
“কঠিন সব সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেছি আমরা, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটাই শেষ নয়,” বলেছেন ইসমাইল।
আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি কর্মসূচির আওতায় সর্বশেষ পর্যালোচনায় একমত হওয়া নীতি থেকে সরে যাওয়া পাকিস্তান যেন তাদের বাড়তে থাকা আর্থিক ও লেনদেন ঘাটতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়, বহুজাতিক আর্থিক সংস্থাটি তাই চেয়েছিল।
তাদেরকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যেই পাকিস্তান এসব পদক্ষেপ নিল। এরপরও ৩৯ মাসে ৬০০ কোটি ডলার দেওয়ার কর্মসূচির ৯০ কোটি ডলার আইএমএফ কবে ছাড় করবে তা স্পষ্ট নয়।
ইসমাইল বলেছেন, তাদের সরকার কর ফাঁকি রুখবে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের রাজস্ব আয় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ লাখ কোটি রুপিতে নিয়ে যাবে এবং আয়-ব্যয়ের ঘাটতি কমিয়ে আনবে।
“২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট হল রাজস্ব আহরণ, ভর্তুকি কমানো ও আর্থিক শৃঙ্খলা অর্জন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আইএমএফের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা,” বলেছেন ব্রোকারেজ কোম্পানি টপলাইন রিসার্চের উমাইর নাসির।
আইএমএফের শর্ত পূরণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল জ্বালানিতে ভর্তুকি তুলে দেওয়া; জ্বালানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে পাকিস্তানের সরকার ইতোমধ্যে ওই শর্তটি কার্যকর করেছে।