এনডিটিভি জানিয়েছে, কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর ৪০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০০ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তে পরীক্ষা করা হয়, সেখানেই এসডিএম কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্সের এ ৬৬ শিক্ষার্থীর দেহে কোভিড ধরা পড়ে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার তাৎক্ষণিকভাবে কলেজটির ২টি হোস্টেল সিলগালা করার আদেশ দেন।
কলেজটির শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে উপস্থিতিও বাতিল করা হয়েছে।
আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা কোভিড টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তাদেরকে হোস্টেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলবে বলে জানিয়েছেন ধারবাদের ডেপুটি কমিশনার নীতেশ পাতিল।
“বাকি ১০০ শিক্ষার্থীরও কোভিড টেস্ট হবে। আক্রান্তদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আমরা দুটি হোস্টেল বন্ধ করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের খাবার ও ওষুধ দেওয়া হবে। কাউকে হোস্টেলের বাইরে বের হতে দেওয়া হবে না। শনাক্তকরণ পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদেরকেও একই আঙ্গিনার মধ্যেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে,” বলেছেন তিনি।
টিকার সব ডোজ নেওয়ার পরও যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথম থেকেই সতর্ক করে আসছেন; এজন্য সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরার নির্দেশনা মেনে চলারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
মেডিকেল কলেজের টিকা নেওয়া কয়েক ডজন শিক্ষার্থীর একসঙ্গে কোভিড আক্রান্তের খবরে কর্ণাটকজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারও কারও জ্বর, কাশি আছে; তবে অনেকেরই কোনো উপসর্গ নেই, বলেছেন পাতিল।