অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে ‘চীনকে বার্তা’ ভারতের

পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2021, 08:33 AM
Updated : 28 Oct 2021, 08:33 AM

বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ওড়িশা উপকূলের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে এই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

এর মাধ্যমে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় অনেক এলাকা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে চলে আসায় বিশ্লেষকদের অনেকেই একে ‘বেইজিংয়ের জন্য দিল্লির বার্তা’ হিসেবে বিবেচনা করছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন সীমান্তে চীন-ভারতের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা দেখা গেছে। গত বছর লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতেরই ২০ সেনার প্রাণ গেছে। চীনের হুমকি মোকাবেলায় ভারত সম্প্রতি অরুণাচল সীমান্তেও সৈন্য বাড়িয়েছে।

নয়া দিল্লি বলছে, এই অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রে তিন স্তরের সলিড ফুয়েলড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলেও দাবি করেছে তারা।

এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের ভাণ্ডারে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর অত্যাধুনিক অস্ত্র বলা হচ্ছে।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে; এটি দিয়ে পরমাণু হামলাও চালানো যাবে।

অগ্নি সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও।

তাদের অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার, অগ্নি-২ এর ২ হাজার কিলোমিটার, অগ্নি-৩ পাড়ি দিতে পারে আড়াই হাজার কিলোমিটার আর অগ্নি-৪ এর পাল্লা সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি। 

ভারত ২০১২ সালে প্রথম অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল।

চলতি বছরের জুনে ভারত পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ‘অগ্নি প্রাইম’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালিয়েছিল।

অগ্নি শ্রেণির মধ্যে সবচেয়ে অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটিও ছোড়া হয়েছিল ওড়িশা উপকূলবর্তী কোনো একটি এলাকা থেকে।