বেসামরিকদের ওপর ধারাবাহিক কয়েকটি হামলার পর বুধবার এ ঘটনা দুটি ঘটেছে বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলটিতে হিন্দু, শিখ, অভিবাসী শ্রমিকসহ ৩০ জনেরও বেশি বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকার পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার জানিয়েছেন, সম্প্রতি অভিবাসী শ্রমিকদের পরিকল্পিত হত্যার সঙ্গে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী জড়িত ছিল, এ সময় এক সৈন্য নিহত ও আরও দুই জন আহত হয়।
রেজিট্যান্স ফ্রন্টের সদস্য এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেসামরিকদের হামলার পেছনে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান তাদের মদত দিচ্ছে বলে বিশ্বাস ভারতীয় কর্তৃপক্ষের।
কাশ্মীরের বিদ্রোহীদের মদত দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান; বলেছে, তারা শুধু কাশ্মীরের জনগণের জন্য কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে থাকে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড শুরু হওয়ার পর কয়েকশ অভিবাসী শ্রমিক হিমলায় পর্বতের এই উপত্যকাটি থেকে পালিয়ে গেছে।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী, ভারত ও পাকিস্তান, উভয়েই পুরো কাশ্মীরের মালিকানা দাবি করে আসছে; কিন্তু উভয়েই অঞ্চলটির শুধু একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করেছে।