জম্মু ও কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ৩ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2021, 06:10 AM
Updated : 12 Oct 2021, 06:10 AM

সোমবার রাতে অঞ্চলটির সোপিয়ান জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে অন্তত একজন গত সপ্তাহে কাশ্মীর উপত্যকায় বেসামরিকদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদের তিন জনই রেজিট্যান্স ফ্রন্টের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। লস্কর-ই-তৈয়বার এই শাখাটি কাশ্মীরজুড়ে বেসামরিক হত্যার পেছনে আছে বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস।

“লস্কর-ই-তৈয়বার তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাদের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আপত্তিকর উপাদান পাওয়া গেছে। তল্লাশি চলছে,” বলেছে পুলিশ।

গোয়েন্দা সূত্রে সোপিয়ানের তুলরান ইমামসাহেব এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দল সেখানে গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। 

নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি বৃত্ত ছোট করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেখানে লুকিয়ে ছিল তার কাছাকাছি উপস্থিত হতেই গুলির মুখে পড়ে, পাল্টা গুলিতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেনি।

নিহত তিন জনের মধ্যে মুখতার শাহর বাড়ি কাশ্মীরের গানদেরবাল জেলায়। কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের সড়কে খাদ্যপণ্য বিক্রেতা বিহারের বাসিন্দা বিরেন্দ্র পাসওয়ানকে হত্যায় শাহ জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।  

সোমবার পুলিশ জানিয়েছিল, কাশ্মীরের বানদিপোর জেলার হাজিন এলাকায় ইমতিয়াজ আহমেদ ধর নামের একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত মঙ্গলবার বান্দিপোরার ট্যাক্সি চালক মোহাম্মদ শফি লোনের হত্যার সঙ্গে ধর জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

বিরেন্দ্র পাসওয়ান ও শফি লোনের পাশাপাশি শ্রীনগরের ইকবাল পার্কে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্য মাখন লাল বিন্দরুকেও (৭০) হত্যা করেছিল অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।

এরপর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আরও দুই বেসামরিক, দীপক চান্দ ও সুপেন্দর কাউরকে হত্যা করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। নিহত এই দুইজন শ্রীনগরের ঈদগা এলাকার সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।  

এসব হত্যাকাণ্ডের জেরে রোববার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতশরও বেশি কাশ্মীরিকে আটক করে। 

সোমবার কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ডেরা কি গলি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) ও চার সৈন্য নিহত হয়।