ইতোমধ্যেই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ও উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে কয়লার অভাবে লোডশেডিং শুরু হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে আরও কয়লা ও গ্যাস বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ কোনো কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র একদিন চলার মতো কয়লার মজুদ আছে।
এক টুইটে তিনি বলেন, “দিল্লিতে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছি।”
শিল্পায়নের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির দাম বাড়ছে, ফলে কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কঠোর হয়েছে।
ভারতের ১৩৫টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দেশটির প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে তিন দিনেরও কম জ্বালানির মজুদ আছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা মোদীর উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে কেজরিওয়াল বলেন, পরপর তিন মাস ধরে কয়লার ঘাটতি চলছে, এতে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ওপর চাপ পড়ছে কিন্তু তাদের কাছেও পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই।
তবে ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ভারতে শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত অর্থনৈতিক তৎপরতার কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ভোক্তা দেশটিতে এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দেশে কয়লার মূল্য কম হওয়ায় আমদানিতে কারও আগ্রহ নেই।