সোমবার এ মর্মে বিচারকের কাছে আবেদন জানালেও তার অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি, তার প্রধান আইনজীবী খিন মাউং জাও এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে কারাবন্দি সু চির বিচার চলছে এবং বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাকে।
আইনজীবী মাউং জাও গণমাধ্যমকে জানান, প্রতি সপ্তাহে নয়, প্রতি মামলার ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহে শুনানির অনুরোধ জানিয়েছেন সু চি।
রযটার্স তার স্বাস্থ্যের অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে জাও জানান, ব্যস্ত সূচীর কারণে সু চি (৭৬) ক্লান্তিতে ভুগছেন তবে তিনি অসুস্থ নন।
টেলিফোনে তিনি বলেন, “তিনি ক্লান্ত। তার বয়সে পুরো সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন শুনানির জন্য বসে থাকা অসুবিধাজনক। তার কোনো নির্দিষ্ট রোগ বা অসুখ নেই। পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো নয়। তিনি শুধু ক্লান্ত।”
মিয়ানমারে নোবেল জয়ী সু চির স্বাস্থ্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেশটির সামরিক শাসকদের চ্যালেঞ্জ করায় বহু বছর তাকে আটক থাকতে হয়েছিল।
করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ ভাঙা, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও সেগুলো নিজের কাছে রাখা, জনগণকে উস্কানি দেওয়া ও সরকারি গোপনীয়তার বিধি লংঘনের মতো বেশি কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে সু চির বিরুদ্ধে।
বেশ কয়েকটি শহরের আদালতে চলা এসব মামলায় তার কয়েক বছরের কারাদণ্ড হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তার মিত্ররা।
এর আগে গত মাসে গতিজনিত অসুস্থতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদালতের শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।