অথচ উপগ্রহের ছবিতে গত সপ্তাহেও পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা আফগানিস্তানের চমন সীমান্তে দেশত্যাগে মরিয়া কয়েক হাজার মানুষের ভিড় দেখা গেছে বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে থাকা স্পিন বোলডাকের চমন সীমান্তেুর পরিস্থিতি জানতে তোলা উপগ্রহের ওই ছবিগুলোতে ভিড় করা আফগানরা যে তড়িঘড়ি দেশ ছাড়তে চাইছেন, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
স্পিন বোলডাক ছাড়াও আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংগুলোর মধ্যে আছে তাজিকিস্তান সীমান্তের শির খান, ইরানের সঙ্গে সীমান্তে ইসলাম কালা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে তোরখাম।
স্পিন বোলডাকের চমন সীমান্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে থাকা অন্যতম ব্যস্ত ক্রসিং। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এর আফগান অংশে জট বাড়ছে। কাবুল ও অন্যান্য শহরে ঘর ছেড়ে আসা অসংখ্য পরিবার তাদের মালপত্র, ব্যাগ ও শিশুদের নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, থাকছে অস্থায়ী তাঁবুতে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর তোলা এসব ছবিতে চমন সীমান্তের আফগান অংশে যে বিপুল ভিড় দেখা গেছে, তা সপ্তাহখানেকেরও কম সময় আগে তোলা একই সীমান্তের উপগ্রহের ছবিতে থাকা ভিড়ের তুলনায় বেশি।
এসব ছবির সঙ্গে আফগানিস্তানের এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে হওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনের মিল আছে বলেও মন্তব্য করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
আফগানিস্তান সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক যে দেশটি থেকে পালানোর পথ খুঁজছেন এবং তারা যে আফগানিস্তানে আগের তালেবান সরকারের মতো দমনপীড়ন ফিরে আসার ভয়ে ভীত তা বলা হয়েছে।
কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান গত মাসে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে অনেক আফগান দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন।
তালেবানরা এবার তাদের ২০ বছর আগের শাসনামলের চেয়ে অনেক বেশি উদারভাবে দেশ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেকে তাদের কথায় ভরসা রাখতে পারছে না।
তারা এবার নারীদের অধিকার দেওয়ার আশ্বাস দিলেও মাঠের পরিস্থিতি সেকথা বলছে না, তাদের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় নারীদের চাকরি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
কট্টর এই ইসলামিক গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতা ওয়াহেদউদ্দিন হাশিমি সম্প্রতি বলেছেন, আফগান নারীদের পুরুষের পাশাপাশি কাজ করার অনুমতি দেওয়া ‘উচিত হবে না’।