জিন্স পরায় প্রাণ দিতে হল ভারতীয় কিশোরীকে

ভারতের উত্তর প্রদেশে জিন্স পরায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে তার আত্মীয়স্বজনরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2021, 09:17 AM
Updated : 27 July 2021, 09:17 AM

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে রাজ্যটির দেওরিয়া জেলার সাবরেজিখার্গ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় নেহা পাসওয়ান নামের ওই কিশোরীর পরিবারের কয়েক সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও আলামত নষ্টের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ ।

নেহার মা শকুন্তলা দেবী পাসওয়ান জানান, নেহার পোশাক নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার দাদা-চাচারা মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে বেদম পেটায়।

“ও সারাদিন উপোস ছিল। সন্ধ্যায় জিন্স আর টপ পরে ধর্মীয় আচার পালন করছিল। সেসময় তার দাদা-দাদি নেহার পোশাক নিয়ে আপত্তি করে। নেহা পাল্টা জবাবে বলে, জিন্স বানানো হয়েছে পরার জন্য, তাই সে পরেছে,” বলেন শকুন্তলা।

এরপর কথা-কাটাকাটি বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে, দাবি নেহা’র মায়ের।

তিনি বলেন, মারধরের পর নেহা অচেতন হয়ে পড়লে তার শ্বশুরের পরিবারের লোকজন একটি অটোরিকশা ডেকে নেহাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তাকে জানায়।

পরদিন সকালে তারা শুনতে পান গান্ধাক নদীর ওপর থাকা সেতু থেকে একটি মেয়ের মৃতদেহ ঝুলছে। পরে বের হয়, মেয়েটি আর কেউ নয়- নেহা।

পুলিশ পরে নেহার দাদা, চাচাসহ পরিবারের নয় সদস্য এবং অটো চালকের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এর মধ্যে নেহার দাদা-দাদি, এক চাচা ও অটোচালককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা শ্রিয়াস ত্রিপাঠী।

মামলায় নাম থাকা বাকিদেরও পুলিশ খুঁজছে, জানিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সন্দেহভাজনদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নেহার বাবা অমরনাথ পাসওয়ান পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় বিভিন্ন স্থাপনায় দিনমজুরি করেন; মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন। নেহা ও অন্য সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে তিনি অমানুষিক পরিশ্রম করতেন বলে জানিয়েছে তিনি।