ভূমিধস ও বানে বেশ কিছু বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পানিতে কয়েকটি গাড়ি ভেসে গেছে বলে মঙ্গলবার দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
হিমাচল প্রদেশের কাঙ্গরা জেলার ডিসি নিপুণ জিন্দাল জানান, জেলার বোহ উপত্যকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এখানে নিখোঁজদের সন্ধানে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর প্রায় ৫০ জন কর্মীকে ও স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
টেলিফোনে তিনি রয়টার্সকে বলেন, “সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে। উদ্ধারকারীরা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছে।”
বানের পানির ধাক্কায় কয়েকটি ভবনের ভিত্তি আলগা হয়ে যায় এবং রাস্তা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। বাসিন্দারা বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে আর বন্যার পানি থেকে জিনিসপত্র রক্ষা করতে সেগুলো সরিয়ে নেয়।
আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় জেলা কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে বলে জিন্দাল জানিয়েছেন। পর্যটকদের ভ্রমণ স্থগিত করতে অথবা যারা ইতোমধ্যেই কাঙ্গরায় আছেন তাদের যেখানে আছেন সেখানেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হিমালয় পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত কাঙ্গারার ধর্মশালা শহর একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ভারতের এই শহরটি থেকেই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তিব্বতের প্রবাসী সরকার।
সোমবার টেলিভিশনের ফুটেজে শহরটির নিকটবর্তী একটি এলাকার সরু রাস্তাগুলো দিয়ে ঘূর্ণায়মান বাদামি পানি বয়ে যেতে দেখা গেছে, পানির তোড়ে একটি গাড়িও ভেসে যায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ধর্মশালাসহ ভারতের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য গন্তব্যগুলোতে বহু পর্যটক ভীড় করেছেন। এসব পর্যটকদের কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য সতর্ক করেছে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ।