এটি এ পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা হেরোইনের সর্ববৃহৎ চালান এবং এর মূল্য আড়াই হাজার কোটি রুপিরও বেশি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
এর মাধ্যমে আফগানিস্তান, ইউরোপ ও ভারতের কিছু অংশজুড়ে ছড়ানো বিশাল একটি আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তারা। এ পর্যন্ত এর সঙ্গে জড়িত চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাদক ও সন্ত্রাসবাদ, এ উভয়দিক বিবেচনায় নিয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের কমিশনার নীরাজ ঠাকুর বলেছেন, “পুলিশ কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা আফগানিস্তানের নাগরিক হজরত আলী এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরের রিজওয়ান আহমেদ, গুরজত সিং ও গুরদীপ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে। এই চক্রটি আফগানিস্তান, ইউরোপ ও ভারতের বেশ কয়েকটি অংশজুড়ে ছড়িয়ে আছে।”
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেরোইনগুলোর জন্য ব্যবহার করা ১০০ কেজি রাসায়নিকও জব্দ করেছে পুলিশ। এসব মাদকের আন্তর্জাতিক মূল্য আড়াই হাজার কোটি রুপিরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাদকের এই চালান পাঞ্জাবে পাঠানোর জন্য ফরিদাবাদের বাড়িটিতে রাখা হয়েছিল।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আফগানিস্তান থেকে বস্তায় ও কার্টনে ভরা মাদক চোরাচালান হয়ে ইরানের চারবাহার বন্দর থেকে মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহেরু বন্দরে আসে।
পরে এসব মাদক দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্যান্য রাজ্যে বিক্রি করা হয়।
পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই মাদক চক্রের প্রধান নভপ্রীত সিং পতুর্গাল থেকে সবকিছু পরিচালনা করেন।