বড় এ রদবদলের আগে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কসহ মন্ত্রিসভার ১২ সদস্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
নতুন যাদেরকে আনা হচ্ছে তাদের মধ্যে তরুণরা প্রাধান্য পাচ্ছেন; আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ওই দুই রাজ্যের অনেকেও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।
মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের আগে পদত্যাগকারীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় থাকলেও একই রাজ্যের শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার ও জন বার্লার নাম নতুনদের তালিকায় থাকতে পারে।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় মন্ত্রিসভার নতুন ৪৩ সদস্য শপথ নিতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার, এনডিটিভি।
পদত্যাগকারীদের তালিকায় সদানন্দ গৌড় এবং সন্তোষ গঙ্গোওয়ারের মতো মুখও আছে।
মোদী নতুন যাদেরকে মন্ত্রিসভায় আনছেন তাদের মধ্যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সর্বানন্দ সনোয়াল, নারায়ন রানে, ভূপেন্দ্র যাদব এবং মীনাক্ষী লেখির নাম শোনা যাচ্ছে।
রদবদলে কিরণ রিজিজু, অনুরাগ ঠাকুর, হারদ্বীপ সিং পুরি, পুরুষোত্তম রুপালা, মানুস মান্দাভায়া এবং জি কে রেড্ডির পদোন্নতি হতে পারে।
মন্ত্রিসভায় এবার ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের শরিকদের মধ্যে জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) আরসিপি সিং, লোক জনশক্তি দলের পশুপতি পরশ এবং আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেলকে দেখা যেতে পারে।
রদবদল ও সম্প্রসারণের পর নতুন মন্ত্রিসভায় আগের চেয়ে বেশি নারী সদস্য এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন সরকারের এক কর্মকর্তা।
নতুনদের মধ্যে পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রিধারী, স্নাতকোত্তর এবং বিভিন্ন পেশায় খ্যাতনামা অনেকেই আসছেন, এনডিটিভিকে এমনটাই বলেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্যরা বুধবার মোদীর বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় শপথ নিতে যাওয়াদের মধ্যে ১৫ জন পূর্ণমন্ত্রী থাকতে পারেন। এর মধ্যে ৭ জন নতুন আসছেন, বাকিদের পদোন্নতি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মোদী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে চা চক্রে মিলিত হবেন।