গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, এপ্রিলে কুম্ভ মেলা চলাকালে এক লাখেরও বেশি পরীক্ষায় ভুয়া নাম, মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
মেলায় আগতদের কোভিড পরীক্ষার জন্য ওই বেসরকারি ল্যাবগুলোকে ভাড়া করেছিল উত্তরাখণ্ড রাজ্য, জানিয়েছে বিবিসি।
মহামারীর মধ্যে কুম্ভ মেলা আয়োজনের জন্য তখন সমালোচিত হয়েছিল উত্তরাখণ্ড। ওই মেলায় প্রায় ২০ লাখ লোক যোগ দিয়েছিল।
এই মেলা থেকে ফেরা লোকজন বিপুল সংখ্যক লোককে সংক্রমিত করেছে বলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা প্রতিবেদনগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গেছে।
ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর সময়টিতে আয়োজিত কুম্ভ মেলায় ঠাসাঠাসি ভিড়ের মধ্যে লোকজন মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়িয়েছে আর তখন দেশটির অনেকগুলো শহরে রোগীর চাপে হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল।
ওই সময় উত্তরাখণ্ডের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মেলায় আগত প্রত্যেকের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। এসব পরীক্ষা করানোর জন্য হরিয়ানা ও দিল্লিভিত্তিক বেসরকারি ল্যাবগুলোকে ভাড়া করা হয়েছিল।
কিন্তু গত সপ্তাহে প্রকাশিত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে অভিযোগ করা হয়েছে, এসব ল্যাব তাদের দৈনিক পরীক্ষার কোটা পূরণে ভুয়া কোভিড রিপোর্ট দিয়েছে। শত শত রিপোর্টে একই ফোন নম্বর ও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে উত্তরাখণ্ড সরকারের মুখপাত্র সুবোধ উনিয়াল বলেছেন, “হরিয়ানা ও দিল্লির ওই ল্যাবগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কুম্ভ মেলা চলার সময় হরিদ্বারের পাঁচটি এলাকায় পরীক্ষা পরিচালনা করেছিল তারা।”
কুম্ভ মেলা হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সারা ভারত থেকে ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও লোকজন এ মেলায় যোগ দিতে আসে।
মার্চে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছিলেন, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন, এ পরিস্থিতিতে মেলার আয়োজন বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু দেশটির সরকার তা আমলে না নিয়ে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে এবং তাতে যোগ দেওয়ার জন্য সারা দেশ থেকে লোকজনকে আসতে দেয়।