মঙ্গলবার ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে আরও ১২টি মৃতদের উদ্ধার করা হয় বলে ডন নিউজ জানিয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে সিন্ধুর ঘোটকি জেলার দারকি শহরের কাছে করাচি থেকে আসা ট্রেন মিল্লাত এক্সপ্রেসের আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পিছলে ডাউন ট্রাকে চলে যায়, তখন ওই লাইনে অপরদিকে দিক থেকে আসা স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস নামের আরেকটি ট্রেন বগিগুলোকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
সোমবার সারাদিন ধরে উদ্ধার কাজ চালানোর পরও মঙ্গলবার ভোরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়ে ছিলেন, তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
ঘোটকির রাইতি ও ডাকারকি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরা প্রথম ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। উদ্ধারকাজে ও আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে তারা ট্র্যাক্টরও ব্যবহার করেন। পরে পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনী, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও সেনা সদস্যরা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
লাইনচ্যুত মিল্লাত এক্সপ্রেসের যাত্রী আখতার রাজপুত বলেন, “প্রথম ঘটনায় আমরা একে অপরের ওপর পড়ে গেলেও আঘাত তত গুরুতর ছিল না, ঠিক তখনই কোত্থেকে আরেকটি ট্রেন এসে আমাদের সজোরে আঘাত করে। জ্ঞান ফিরে আসার পর দেখি আমরা চারপাশে অনেক যাত্রী পড়ে আছেন, কয়েকজন বগি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন।”
ঘোটকির এসএসপি উমর তুফায়েল বলেছিলেন, “একটি বগি ইঞ্জিনের নিচে চলে গেছে, সেখানে তিনটি মৃতদেহ আটকা পড়ে থাকতে দেখেছি আমরা, অন্য জায়গায় আরও দুটি মৃতদেহ দেখা গেছে; তাই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে।”
পাকিস্তান রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিল্লাত এক্সপ্রেসে ৭০৩ জন ও স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেসে ৫০৫ জন যাত্রী ছিলেন।
রেলওয়েটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তান রেলওয়ের নীতি অনুযায়ী নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ রুপি করে ও আহতদের ৫০ হাজার থেকে ৩০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে ট্রেনের বেশ কয়েকটি দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগি উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কী কারণে প্রথম ট্রেনটি লাইচ্যুত হয়েছিল তা শেষ খবর পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।