মহামারী পরিস্থিতি সামলাতে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি কঠোর সমালোচনা করা এই বিশেষজ্ঞ ইনডিয়ান সার্স-সিওভি-২ জিনোমিক কনসোর্টিয়ামের (ইনসাকগ) নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শাহিদ জামিল গত শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাননি।
পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, “এ বিষয়ে আমার বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। কারণ বলতে আমি বাধ্য নই।”
ইনসাকগের কাজের তদারকের দায়িত্বে থাকা ভারতের বায়ো টেকনোলজি বিভাগের সচিব রেনু স্বরূপ এ বিষয়ে কোনো প্রত্রিক্রিয়া দেননি। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের প্রতিক্রিয়াও রয়টার্স জানতে পারেনি।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে শাহিদ জামিল লেখেন, তারা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে নীতি বদলের পরামর্শ দিলেও সরকার তার সিদ্ধান্তে অনমনীয় থেকেছে।
ভারতের কোভিড ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষার স্বল্পতা, টিকাদানে ধীরগতি, টিকার সরবরাহ সঙ্কট এবং জনবলের ঘাটতির মত দুর্বলতাগুলো সরকারের সামনে তুলে ধরেছিলেন।
এ মাসের শুরুতে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, শাহিদ জামিলের নেতৃত্বে ইনসাকগ গত মার্চেই করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক একটি নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করেছিল, কিন্তু মোদী প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি।
বি.১.৬১৭ নাম পাওয়া করোনাভাইরাসের ওই নতুন ধরণটি ইতোমধ্যে ভারতকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। অতি দ্রুত রেকর্ড সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করার পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের মৃত্য ঘটিয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট।
সরকারি হিসাবে গত এক সপ্তাহেই ২০ লাখের বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৮ হাজার মানুষের। এর মধ্যে কেবল রোববারই ৪ হাজার ৭৭ জনের মৃত্যু দেখেছে ভারত।
অবশ্য আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা এর অন্তত দশগুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কারণ ভারতের বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অত্যন্ত কম বলে অনেকেই শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে।