আরব সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া তাউতে মঙ্গলবার গুজরাটে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আচমকা দুর্বল হয়ে না পড়লে এটিই হতে যাচ্ছে ভারতে চলতি বছর আঘাত হানতে যাওয়া প্রথম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় হিমশিম খেতে থাকা দেশটি এমনিতেই গত দুই মাসে বিপুল সংখ্যাক কোভিড রোগী ও মৃত্যু দেখেছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববার দিবাগত রাতে তাউতে আরও ঘনীভূত হয়ে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকালে ঝড়টির গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার কথা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেরালা, কর্ণাটক, তামিল নাড়ু, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর ৫০টিরও বেশি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝড়টির কারণে রোববার পর্যন্ত কেরালা, কর্ণাটক ও গোয়ার উপকূলীয় জেলাগুলোতে, মঙ্গল ও বুধবার গুজরাটের কুচ ও সৌরাষ্ট্রে মাঝারি থেকে তুমুল বৃষ্টিপাত, হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধস দেখা যেতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করেছে।
গণমাধ্যমে দেখানো বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে উদ্ধারকারী দলকে শুক্রবার তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরালার কোচির বাসিন্দাদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
ভারতের পশ্চিম উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে ‘লাল’ ও ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাক্ষাদ্বীপের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলেদেরকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আরব সাগর অভিমুখে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিল নাড়ু ও রাজস্থানের কিছু কিছু অংশেও হালকা, মাঝারি বা তীব্র বৃষ্টি হতে পারে, বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।
“পশ্চিম উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রাজ্য প্রশাসনগুলোকে সব ধরনের সহায়তায় নৌ বাহিনীর জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, ডুবুরি ও দুর্যোগ ত্রাণ দল প্রস্তুত রয়েছে,” বলেছেন নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র।