দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে তিন লাখ ৬২ হাজার ৭২৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ৪১২০ জনের।
নতুন আক্রান্তদের নিয়ে ভারতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ৩৭ লাখ তিন হাজার ৬৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ ৪২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রেকর্ড এ সংখ্যাটির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার দেশটিতে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়ানোর পর এখন দুই লাখ ৫৮ হাজার ৩১৭ জনে দাঁড়িযেছে।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত আর মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে আছে।
দেশটিতে টানা পাঁচ দিন ধরে দৈনিক চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর চার দিন ধরে নতুন সংক্রমণ কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় পরীক্ষার অভাবে অনেক রোগী শনাক্ত হচ্ছে না এমন সম্ভাবনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে কি না, সে বিষয়ে এ মূহুর্তে দৃঢ়ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের ৪৪টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন বলে পরিচিতি পাওয়া বি.১.৬১৭ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ভারতে ‘বেশ কয়েকটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহাসমাবেশে সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি পাওয়ার’ ফলাফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ‘পুনরূত্থান ও ত্বরান্বিত’ হওয়া শুরু হয় বলে দেশটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ঝুঁকি পর্যালোচনার পর বলেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
বিশ্বের শীর্ষ এ স্বাস্থ্য সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ৯৫ শতাংশ করোনাভাইরাস রোগী ভারতে শনাক্ত হয়েছে এবং মহামারীতে অঞ্চলটির মোট মৃত্যুর ৯৩ শতাংশ এ দেশটিতে ঘটেছে।