সোমবার কেআইএর একজন কর্মকর্তা একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গোষ্ঠীটির তথ্য বিভাগের প্রধান নও বু বলেছেন, কাচিন প্রদেশের মোয়েমাউক শহরের নিকটবর্তী একটি গ্রামে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করা হয়।
টেলিফোনে রয়টার্সকে তিনি বলেন, “সামরিক কাউন্সিল সকাল ৮টা বা ৯টা থেকে ওই এলাকায় বিমান হামলা শুরু করেছিল। তারা জঙ্গি বিমান ব্যবহার করার পাশাপাশি একটি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করছিল, তাই আমরা তাদের দিকে পাল্টা গুলি ছুড়েছিলাম।”
তবে তারা কী অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
নিউজ পোর্টাল মিজ্জিমাডেইলি এবং কাচিনওয়েভস ভূমি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি ওঠার কয়েকটি ছবি দিয়ে হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার খবর দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একজন বাসিন্দা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, গ্রামের একটি মঠে কামানের গোলার আঘাতে গুরুতর আহত চার ব্যক্তি হাসপাতালে মারা গেছেন।
রয়টার্স এসব প্রতিবেদন স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি এবং এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রকে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি বলে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, মিয়ানমারের উত্তর ও পূর্বের প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংখ্যালঘু জাতিগুলোর বিদ্রোহীদের লড়াইয়ের কারণে লাখো বেসামরিক তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এসব লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে আছে। প্রায় প্রতিদিন দেশজুড়ে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে।
গণমাধ্যমের খবর বলা হয়েছে, গত কিছু দিনের মধ্যে রোববার মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় আর সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আট জন নিহত হন।
দেশটির মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্সের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৭৬৫ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।