রোববার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে একই সময় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম পাওয়া গেছে, শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ৯২ হাজার ৪৮৮ জন নতুন রোগী। এদের নিয়ে ভারতে শনাক্ত মোট করোনভাইরাস রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। আর মোট দুই লাখ ১৫ হাজার ৫৪২টি মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পর চতুর্থ স্থানে আছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল দেশটি।
এই নিয়ে টানা চার দিন ধরে কোভিড-১৯ এ তিন হাজারের বেশি মৃত্যু দেখল ভারত। শশ্মানগুলো মৃত্যুর এ চাপ সামাল দিতে না পারায় বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী চিতা তৈরি করে মৃতদের দাহ করা হচ্ছে।
ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালগুলোতে শৃঙ্খলা ধরে রাখা যাচ্ছে না। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শয্যা ও তীব্র অক্সিজেন সংকট। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালগুলোতে ইতোমধ্যেই বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবারও রাজধানী দিল্লির একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে একজন চিকিৎসকসহ অন্তত ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়।
ভয়াবহ পরিস্থিতির চাপ সহ্য করতে না পেরে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের একজন চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।
মহামারীতে ভারতের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক দেশের পাঠানো জরুরি সহায়তা ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছতে শুরু করেছে।
এপ্রিলে ভারতে ৬৬ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মার্চের ১০ লাখ ২৫ হাজার শানক্তের চেয়ে যা অনেক বেশী। ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সাড়ে তিন লাখ ও জানুয়ারিতে চার লাখ ৭৯ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
শুধু এপ্রিলেই কোভিড-১৯ এ ভারতে ৪৫ হাজারেরও বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মার্চে সংখ্যাটি ৫৪১৭, ফেব্রুয়ারিতে ২৭৭৭ ও জানুয়ারিতে ৫৫৩৬ জন ছিল।
নজিরবিহীনভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকার মুখে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা পর্যালোচনা করতে রোববার সকালে জরুরি বৈঠকে বসেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত মাসে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে ‘ঝড়ের মতো আঘাত হেনেছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।