তার দোকানে মূলত নারী ও রূপান্তরিত নারীদের পোশাক তৈরি করা হয়। এই দোকান খোলার মধ্য দিয়ে সমাজের ট্যাবু ভেঙে বেরিয়ে এসে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান ৩৫ বছরের জিয়া।
যদিও নিউ মার্কেটে একটি দোকান পেতে জিয়াকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। পাকিস্তানে দোকান মালিকরা সাধারণত তৃতীয়লিঙ্গের মানুষ বা রূপান্তরিত নারীদের দোকান ভাড়া দিতে চান না।
জিয়া লেখাপড়া করেছেন ছেলেদের স্কুলে। তিনি সেলাইয়ের কাজ শিখেছেন তারই মত রূপান্তরিত নারীদের কাছ থেকে।
রূপান্তরিত নারী ক্রেতাদের পাশাপাশি জিয়ার অনেক ক্রেতাই নারী। তিনি বলেন, বেশিরভাগ দর্জিই পুরুষ হওয়ায় অনেক নারী তার মত মানুষদের কাছে কাপড় বানাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
জিয়ার ক্রেতা ফারজানা জাহিদ বলেন, "জিয়া যখন কাপড় বানানোর জন্য আমার মাপ নেয় তখন আমার একদমই অস্বস্তি হয় না।"
২০১৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পাকিস্তানে ১০ হাজার তৃতীয়লিঙ্গের মানুষ আছে। যদিও পাকিস্তানের তৃতীয়লিঙ্গ অধিকার সংস্থাগুলো দাবি, ২২ কোটি মানুষের ওই দেশে আছে প্রায় তিন লাখ তৃতীয়লিঙ্গের মানুষ।