মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ‘৮২ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে’

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনের নিকটবর্তী একটি ছোট শহরে ৮০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে বলে পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) ও স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2021, 05:56 PM
Updated : 10 April 2021, 06:15 PM

শুক্রবার ইয়াঙ্গনের ৯০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে বাগো শহরে নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের ওপর রাইফেল গ্রেনেড ছোড়ে বলে জানিয়েছে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, বাগো শহরের এই নিহতের সংখ্যা প্রথমে বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি কারণ নিরাপত্তা বাহিনী মৃতদেহগুলো জেইয়ার মুনি প্যাগোডা প্রাঙ্গণে নিয়ে জড়ো করে সেই এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছিল।

এএপিপি ও মিয়ানমার নাও গণমাধ্যম শনিবার জানিয়েছে, এখানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোরের আগে থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত চলে বলে মিয়ানামার নাও জানিয়েছে।

গণমাধ্যমটি ইয়ে হতুত নামের একজন আন্দোলন সংগঠকের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়েছে, তাতে হতুত বলেছেন, “এটি গণহত্যার মতো। তারা প্রত্যেকটি ছায়ার দিকেও গুলি ছুড়ছিল।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা বিভিন্ন ভাষ্য থেকে জানা গেছে, স্থানীয় অনেক বাসিন্দাই পালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে শনিবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।    

এএপিপি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ও গ্রেপ্তার প্রতিবাদকারীদের দৈনিক হিসাব রাখছে। ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৬১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এর আগে জানিয়েছিল তারা।

তবে এই সংখ্যাটির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করা সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, অং সান সু চির দল নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি করে জয় পেয়েছিল। তবে তাদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন।

রাজধানী নেপিডোতে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জান্তা মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেছেন, সামরিক বাহিনী ২৪৮ জন বেসামরিক ও ১৬ জন পুলিশের মৃত্যু রেকর্ড করেছে আর নিরাপত্তা বাহিনী এ পর্যন্ত কোনো স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি।

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হ্রাস পাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, লোকজন শান্তি চায় বলেই এমনটি হচ্ছে। সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

অপরদিকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এদিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানামারের ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতারা। 

আরও পড়ুন: