মিয়ানমারে রক্তবন্যা এড়াতে ব্যবস্থা নিন: জাতিসংঘের দূত

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের মাত্রা বাড়ানোর ফলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ‘রক্তবন্যা আসন্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2021, 04:50 AM
Updated : 1 April 2021, 04:50 AM

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে শানার বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ চালাতে সক্ষম নয়; যে কারণে দেশটির পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

“সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবকিছুকে বিবেচনায় নিন। এশিয়ার কেন্দ্রে বহুমাত্রিক বিপর্যয় রোধ করতে, মিয়ানমারের জনগণের জন্য যা উপযুক্ত এবং যেটা সঠিক সেটাই করুন,” বলেছেন তিনি।

জাতিসংঘের এ দূত বলেছেন, ‘আসন্ন রক্তবন্যার’ মতো পরিস্থিতি উল্টে দিতে পরিষদের উচিত ‘সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের’ কথা বিবেচনায় নেওয়া।

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা মারাত্মক আকার ধারণ করায় যুক্তরাজ্যের অনুরোধে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠক হয়।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২১ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে; এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে কেবল শনিবারই ১৪১ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স।

দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কিছু এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লড়াইও সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র হয়েছে। সংঘাতের কারণে সেসব এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয়ও নিচ্ছে।

“সেনাবাহিনীর এসব সহিংস আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিক থেকে একটি শক্ত বার্তা পাঠানো দরকার। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের উচিত তার দায়িত্ব পালন করা,” নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের পর ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলেছেন জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড।

মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এরই মধ্যে দুই দফা বিবৃতি দিয়েছে। যদিও চীন, রাশিয়া, ভারত ও ভিয়েতনামের বিরোধিতার কারণে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানিয়ে কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হুমকি দিয়ে কঠোর ভাষায় এখন পর্যন্ত কিছু বলতে পারেনি।