ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়, যদি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জারি করা নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করা না হয় তবে আবারও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে কোভিড-১৯ এর গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বুধবার দেশটি তাদের টিকাদান কার্যক্রম আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৩ হাজার ৭৪২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এদিন মারা গেছেন ১০৪ জন। গত দুই সপ্তাহে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যু।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে, বিশেষ করে ভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে কঠোর যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের শিথিলতা পরিস্থিতি আরো নজুক করে তুলতে পারে।”
করোনাভাইরাসের নতুন যে দুইটি ধরন ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে বেশ আগেই ভারতেও তা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রোগ শনাক্তের পরীক্ষায় ব্যর্থতা
বর্তমানে ছত্তিসগড়, গুজরাট, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে কোভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ ওই সব রাজ্যে রোগ শনাক্তের পরীক্ষা এক কথায় বলতে গেলে ব্যর্থ বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কর্নাটক, তামিল নাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গেও রোগী বাড়ছে।
গত সপ্তাহে ভারতের ৩৬টি রাজ্যের একতৃতীয়াংশেই দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়িয়েছে। তারমধ্যে কেরালা এবং মহারাষ্ট্রে দৈনিক শনাক্ত চার হাজারের বেশি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলোকে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে বলেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র এক কোটি ১০ লাখ মানুষ টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
সরকার আগামী অগাস্টের মধ্যে ৩০ কোটি ভারতীয়কে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ১ মার্চ থেকে দেশটিতে ৬০ বছর ঊর্ধ্ব এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষ যারা দীর্ঘমেয়াদে রোগে ভুগছেন তাদের দেশজুড়ে ১০ হাজারের বেশি সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া, ২০ হাজারের বেশি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অর্থের বিনিময়ে টিকা নেওয়া যাবে।