বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার নিমতিতা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ বলেছে, মন্ত্রীর ওপর বোমা হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিযেছে তারা।
আহত মন্ত্রীকে প্রথমে স্থানীয় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বুধবার রাতেই তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাকিরের অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতায় ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিলেন মন্ত্রী, নিমতিতা স্টেশন থেকে তোর্সা এক্সপ্রেস ধরার কথা ছিল তার। গাড়ি থেকে নেমে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে হেঁটে স্টেশনের ২ নং প্ল্যাটফর্মে যান তিনি, সেখানেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, জাকির দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের অনেকেই মোবাইলে ভিডিও করছিলেন, কেউ কেউ লাইভে ছিলেন। কর্মীদের শ্লোগান চলার মধ্যেই আচমকা প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। পরে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছেন সবাই।
মন্ত্রী জাকিরের হাতে-পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় জাকির হোসেনকে দেখতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যমন্ত্রীকে খুন করতে বড় ধরনের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতদের পাঁচ লাখ রুপি ও তুলনামূলক কম আহতদের এক লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেস। পুলিশের সিআইডি বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।