চার বছর পর মুক্তি পেলেন তামিল নেত্রী শশিকলা

তামিল নাডুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সহচর, অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাঘামের (এআইএডিএমকে) বহিষ্কৃত নেতা ভিকে শশিকলা দুর্নীতির এক মামলায় বেঙ্গালুরুর কারাগারে চার বছরের সাজা শেষে মুক্তি পেয়েছেন। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2021, 10:10 AM
Updated : 27 Jan 2021, 10:10 AM

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জেল থেকে মুক্তি মিললেও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় বেশি কিছুদিন ধরে হাসপাতালে আছেন তিনি, জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

এ কারণে আপাতত বেঙ্গালুরুতেই থাকতে হচ্ছে ৬৬ কোটি রুপি দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করা এ তামিল নেত্রীকে।  

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সাত দিন আগে শশীকলার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

কারা কর্মকর্তারা হাসপাতালে এসে আনুষ্ঠানিকতা সারলে ৬৬ বছর বয়সী শশিকলা বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগ্রহারার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পান।

আনুষ্ঠানিক কারামুক্তির আগে এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শশিকলার অবস্থা স্থিতিশীল।

এআইএডিএমকের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক যতদিন রাজ্যে থাকবেন ততদিন কর্ণাটক পুলিশের কাছ থেকে সুরক্ষা পাবেন বলেও এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

তাকে আরও অন্তত চার-পাঁচ দিন বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে থাকতে হবে বলে হাসপাতালটির এক মেডিকেল সুপারিনটেন্ডেন্ট জানিয়েছেন।

শশিকলার মুক্তি উপলক্ষে হাসপাতালটির বাইরে তার সমর্থকদের বিপুল ভিড় দেখা গেছে; তারা মিষ্টি বিতরণ করেছেন ও এআইএডিএমকে’র একসময়ের প্রভাবশালী এ নেত্রীর নামে স্লোগানও দিয়েছেন।

এআইএডিএমকে’র সাবেক এ নেত্রীর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিনই চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচ সংলগ্ন এলাকায় ৭৯ কোটি রুপি খরচে নির্মিত জয়ললিতার সমাধিসৌধ উদ্বোধন করেছেন তামিল নাডুর মুখ্যমন্ত্রী ইদাপ্পাদি পালানিস্বামী।

দুর্নীতি, মুদ্রা পাচার ও আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের শুরুতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শশিকলাকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। শশিকলার ননদ জে ইলাভারাসি ও জয়ললিতার পালকপুত্র ভিএন সুধাকরণও ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

তামিল নাডুতে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে শশিকলা জেল থেকে ছাড়া পেলেন। 

একসময় তামিল নাডুর রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী শশিকলা যদি তার প্রভাবের ছিটেফোঁটাও ফের করায়ত্ত করতে পারেন তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনেই তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়’ হয়ে উঠতে পারেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।