পুনে থেকে ভারতজুড়ে টিকা পৌঁছানোর কাজ শুরু

পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া থেকে করোনাভাইরাসের টিকার চালান ভারতের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেওয়া কাজ শুরু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2021, 09:28 AM
Updated : 12 Jan 2021, 09:32 AM

আর এর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কাজে নতুন গতি এল বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবার সকালে ইনডিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে করে টিকার চালান ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়। 

আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারত সরকার, যা শুরু হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে।

এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা সামনের সারিতে আছেন, এমন তিন কোটি কর্মী টিকা পাবেন সবার আগে। এরপর পাবে ২৭ কোটি মানুষ, যাদের বয়স ৫০ এর বেশি বা দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে যারা ঝুঁকির মুখে রয়েছেন।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ কিনতে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে ভারত সরকার। প্রতি ডোজ টিকার জন্য তাদের দিতে হবে ২০০ রুপি (২.৭২ ডলার) করে।

এছাড়া ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের সঙ্গেও করোনাভাইরাসের টিকার জন্য চুক্তি করেছে দেশটির সরকার। এখন পর্যন্ত এ দুটি কোম্পানির করোনাভাইরাসের টিকাই ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।

বিশ্বের সর্বাধিক টিকা উৎপাদনকারী সেরাম ইনস্টিটিউট বিতরণের জন্য এরইমধ্যে ৫ কোটি ডোজ টিকা মজুদ করেছে।

বর্তমানে প্রতি মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকার যোগান দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে তাদের, যা বাড়িয়ে আগামী মার্চ থেকে মাসে ১০ কোটি ডোজে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট।

ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী  হারদ্বীপ সিং পুরি  এক টুইটে জানিয়েছেন, প্রথম দিন সাড়ে ৫৬ লাখ ডোজ টিকা বিভিন্ন শহরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের কর্মকর্তারা বলেছেন, টিকা বিতরণের কাজটিকে তারা এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

গুজরাটের উপ মুখ্যমন্ত্রী নিতিন প্যাটেল বলেছেন, বিমানবন্দর থেকে টিকার চালান নিয়ে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হবে যাতে সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকাদানকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া যায়। 

ভারতে এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৫ লাখ মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি।