অনুমোদনের অপেক্ষা ফুরালো, ভারতে টিকাদান শুরু শিগগিরই

সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার সঙ্গে ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় ভারতের ভ্যাকসিনের অপেক্ষা ফুরাতে চলেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2021, 06:57 AM
Updated : 3 Jan 2021, 07:25 AM

ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভিজি সোমানি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দুই টিকা অনুমোদনের এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রিত জরুরি ব্যবহারের’ জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ও স্থানীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক্সের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এই দুটি টিকাই নিরাপদ।

“নিরাপত্তার ব্যাপারে সামান্যতম উদ্বেগ থাকা কোনো কিছু আমরা কখনো অনুমোদন করবো না। এই টিকাগুলো শতভাগ নিরাপদ,” বলেছেন সোমানি। 

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ৩০ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর এ টিকা আর্জেন্টিনাতেও অনুমোদন পায়।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, আগামী এক বছরে তারা পুরো বিশ্বের জন্য তিন বিলিয়ন ডোজ টিকা তৈরি করবে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদিত টিকার ভারতীয় সংস্করণের নাম ‘কোভিশিল্ড’ আর ভারত বায়োটেক্সের টিকার নাম ‘কোভ্যাক্সিন’।

ডিসিজিআই দুটি টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর দেশের বৈজ্ঞানিক মহলকে অভিনন্দন জানিয়ে এক টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “জরুরি ব্যবহারের জন্য যে দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলো ভারতের তৈরি, এটি প্রত্যেক ভারতবাসীকে গর্বিত করবে।”

রয়টার্স জানিয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে যাওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার।

অক্সফোর্ডের টিকা রেফ্রিজারেটরের সাধারণ তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়; ফলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে এই টিকা পৌঁছানো তুলনামূলক সহজ।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মডার্নার টিকা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়, যা সাধারণ রেফ্রিজারেটরে সম্ভব নয়।

প্রত্যেককে অক্সফোর্ডের টিকার দুটো করে ডোজ নিতে হবে। দুই ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকবে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ভারতের সরকারের কাছে প্রতি ডোজ প্রায় ২৫০ রুপি ও বাজারে এক হাজার রুপি দরে বিক্রি করা হবে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।