তামিল নাড়ুতে আছড়ে পড়া নিভার ঝরাচ্ছে তুমুল বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় নিভার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অসংখ্য গাছ উপড়ে ফেলা ছাড়াও তুমুল বৃষ্টি ঝরাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 06:29 AM
Updated : 26 Nov 2020, 08:48 AM

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরের আগে রাত আড়াইটার দিকে ঝড়টি পুদুচেরির ৩০ কিলোমিটার উত্তরে তামিল নাড়ুর উপকূলীয় শহর মারাক্কানামে আঘাত হানে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। 

নিম্নচাপ থেকে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ এবং পরে শক্তি হারিয়ে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়া নিভার আছড়ে পড়ার আগেই উপকূলীয় রাজ্যগুলোর প্রায় দুই লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। 

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝড়ে গাছ উপড়ে ও দেয়াল ধসে এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঝড়ের কারণে হওয়া তুমুল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তামিল নাড়ুর সবচেয়ে বড় শহর চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটি সড়ক ডুবে গেছে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবি ও ফুটেজে চেন্নাইয়ে উপড়ে পড়া গাছ ও কিছু রাস্তায় হাঁটু সমান উচ্চতার পানিতে লোকজনকে হাঁটতে দেখা গেছে।

ঝড়ের কারণে কেবল পুদুচেরিই ২০ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত দেখেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়নাসামী। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

“পুদুচেরি জলাবদ্ধ অবস্থায় পতিত হয়েছে, অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে,” বৃহস্পতিবার সকালে বলেছেন নারায়নাসামী।

ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুদুচেরি এবং তামিল নাড়ুর কাডেলোর শহরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

কাডেলোর, নাগাপাত্তিনামসহ তামিল নাড়ুর বিভিন্ন উপকূলীয় শহর ও পুদুচেরিতে বৃষ্টিপাত আরও কিছু সময় অব্যাহত থাকবে এবং এ এলাকাগুলোতে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ।