আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর মৃত্যু

আসামের টানা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ মারা গেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2020, 08:10 AM
Updated : 24 Nov 2020, 08:10 AM

সোমবার বিকালে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সী এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয় বলে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আসামের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকা গগৈ অগাস্টে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

চিকিৎসা শেষে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও কয়েকদিন পরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি হন জোরহাট ও কালিয়াবর থেকে ৬ বার লোকসভায় যাওয়া এ সাংসদ। 

তিতাবর থেকে ৪ বার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়া গগৈ ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ৩ দফা আসামের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যে কংগ্রেস হেরে গেলেও তাই-অহম জনগোষ্ঠী থেকে উঠে আসা গগৈ নিজের আসনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন।

আগামী বছরের এপ্রিল-মে’তে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই আসামে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এসময় গগৈর মৃত্যু উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে কংগ্রেসকে বিপদে ফেলে দিতে পারে বলে অনুমান অনেকের।

আসামের জোরহাট জেলায় ১৯৩৪ সালে জন্ম নেওয়া গগৈর বাবা ছিলেন স্থানীয় চা বাগানের চিকিৎসক। ছাত্র থাকার সময়ই তিনি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্নাতক পাস করার পর গগৈ ১৯৬৮ সালে জোরহাট পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।

তিন বছর পর লোকসভা ভোটে জোরহাট কেন্দ্রে তাকেই কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন ইন্দিরা গান্ধী।

১৯৯১ সালে কালিয়াবর লোকসভা আসন থেকে জিতে নরসিমা রাও সরকারের মন্ত্রী হওয়া গগৈ আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার মৃত্যুর পর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে রাজ্যের রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। সে বছর বিধানসভা ভোটে অসম গণপরিষদের (অগপ) কাছে হারলেও ২০০১ সালে গগৈর হাত ধরে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরেছিল কংগ্রেস।

দেড় দশকের রাজত্বের পর ২০১৬ সালে কংগ্রেস আসামে বিজেপি-অগপ জোটের কাছে ধরাশায়ী হয়।